বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান? আপনি যদি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আগ্রহী হন সুযোগ আছে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা জেলা বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি জননেতা খন্দকার আবু আশফাক ভাইয়ের সাথে সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় হাজারো মানুষের মিলনমেলায় পালিত অষ্টমী স্নান উৎসব এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহ,কালবৈশাখী-ঘূর্ণিঝড়ের আভাস এবার জনপ্রতি ফিতরা কতো? সাবেক এমপি এম এ মালেক গ্রেপ্তার কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৩২ নম্বরের বাড়ি কুশুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সভা অনুষ্ঠিত

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ যত বাড়ল

আরমান হোসেন খানঃ
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেকর্ড পরিমাণে রেমিট্যান্সের কারণে ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে আমদানি ব্যয়ও কমেছে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে থাকা ডলারের বাড়তি প্রবাহ কিনে নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৪৯ কোটি ডলার।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে দেখা যায়, আসন্ন কোরবানির ঈদে প্রবাসীরা দেশে থাকা তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়তি ব্যয় মেটাতে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন বেশি পরিমাণে। গত মে মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। ওই মাসে প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ২২৫ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা এক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ।

এদিকে ওই মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। আমদানি ব্যয়ও কমেছে ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয় কমায় ডলারের খরচে একটি ভারসাম্য এসেছে। রেমিট্যান্সের অর্থ উদ্বৃত্ত থেকেছে। যে কারণে ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। এ কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কিনেছে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে নগদ টাকার জোগান দিয়েছে। ঈদের সময় গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোর বাড়তি টাকার প্রয়োজন। ডলার বিক্রি করে ব্যাংক টাকা নিয়ে সে চাহিদা মিটিয়েছে। আর ডলার কেনার কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে আরো দেখা যায়, মে মাসের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪২১ কোটি ডলার। গত বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫২ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে রিজার্ভ বেড়েছে ৩০ কোটি ডলার। মে মাসের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৮৭২ কোটি ডলার। গত বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২১ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে রিজার্ভ বেড়েছে ৪৯ কোটি ডলার। গ্রস রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত আসার কারণে সেগুলো নিট রিজার্ভে যোগ হচ্ছে। এ কারণে নিট রিজার্ভ বাড়ছে।

এদিকে চলতি জুন মাসের শেষ দিকে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ বাবদ ১১৫ কোটি ডলার পাওয়া যেতে পারে। এ অর্থ পেলে রিজার্ভ আরো বাড়বে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত